December 21, 2024, 6:00 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া-২ আসনে (মিরপুর-ভেড়ামারা) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জেরে মিরপুর উপজেলায় শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে গুলি করা হয়েছে। উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামে সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাহার আলী পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়েছেন। ঘটনায় তাকেসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ হওয়া ওই দুই ব্যক্তি হলেন মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়ির শিমুলিয়া এলাকার হাসেম গাজী (৫৫) ও বহলবাড়ি সাতবাড়িয়া এলাকার রেজাউল ইসলাম (৫০)।
আতাহার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল ইনুর পক্ষে কাজ করেছিলেন। এই আসনে জয়ী হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র পার্থী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে শিমুলিয়া গ্রামে পল্টুর চায়ের দোকানে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করেন আতাহার। তার সঙ্গে ছিলেন ৩০/৪০ জন। অনেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল।
এসময় আতাহার চায়ের দোকানে থাকা হাসেম গাজীকে জানতে চান তার সর্ম্পকে চায়ের দোকানে বসে হাসেম গাজী খারাপ খারাপ কথা বলছেন কেন। তাদের মধ্যে বিগত নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্ব আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়মী লীগ নেতা কামারুল আরেফিনকে নিয়ে বাগ্বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে আতাহার তার নিজস্ব পিস্তল দিয়ে পরপর পাঁচটি গুলি করেন। এতে হাসেম গাজী ও সেখানে থাকা ভ্যানচালক রেজাউল গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপরই আতাহার তার লোকজন নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারনে তাদেকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়।
গুলিবিদ্ধ হাসেম গাজীর ভাতিজা সেন্টু গাজী জানান, ‘গত সংসদ নির্বাচনে তাদের পরিবার আওয়ামী লীগ নেতা কামারুল আরেফিনের ট্রাক প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করে। এসব নিয়ে আতাহার তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা আতাহার আলী এখন পুলিশ হেফাজতে থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন, ক্রাইম ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ জানান, অভিযুক্ত আতাহারসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন জানান, সবই পরিস্কার হয়ে গেছে। তার পক্ষে কাজ করা লোকজনদের বিশেষ নির্দেশে অত্যাচার করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, আতাহার এলাকার মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, জনগন ঘুরে দাঁড়িয়ে জাসদকে মোকাবেলা করবে।
Leave a Reply